How to Increase Website Speed in Blogger |
ব্লগার ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানোর সেরা ৮ টি উপায়
যদি আপনার সাইটটি ৩ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় নেয় লোডিং হতে তাহলে আপনার সাইটটির লোডিং স্পীড অনেক কম। যা একজন ভিজিটরের জন্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়। বন্ধুরা এখন আপনার মনের প্রশ্ন আসতে পারে যে আমি কীভাবে জানতে পারি আমার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কত? যেকোনো ওয়েবসাইটের স্পীড টেষ্ট করার জন্য গুগলের একটা টুল রয়েছে। যার নাম হলো Google's Page Speed Insights । কীভাবে গুগল পেজ স্পীড ইনসাইট ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের স্পীড চেক করবেন? তার জন্য আমাদের নিচের গাইডটি দেখুন।
আরো পড়ুন ঃ How to check website loading speed
বিঃদ্রঃ এই গাইডটি শুধু মাত্র ব্লগার ওয়েসাইটের জন্য । যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে নিচের গাইডটি দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন ঃ How to increase WordPress website loading speed
1. ব্লগের হোম পেজে কম সংখ্যক পোষ্ট সো করা
ব্লগের হোম পেজে বেশি পোষ্ট সো করালে আপনার সাইটটি লোড হতে বেশি সময় নেবে। আপনি সবচেয়ে বেটার ফল পাওয়ার জন্য সবোর্চ্চ ১০ টি পোষ্ট সো করাতে পারেন। এছাড়াও আপনার পোষ্ট গুলো যদি অনেক বড় হয় আর পোষ্ট গুলোতে যদি অনেক ইমেজ থাকে তাহলে তাহলে আমি বলবো হোম পেজে ৪ - ৬ টির বেশি পোষ্ট সো না করাই ভালো।
কীভাব ব্লগারে হোম পেজের পোষ্ট সংখ্যা পরিবর্তন করবেন?
ব্লগারের হোম পেজের পোষ্ট সংখ্যা পরিবর্তনের জন্য আপনি সর্বপ্রথমে ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে যাবেন - এরপর
![]() |
How to change number of blog post in Home page |
১. লেয়আউট এ যাবেন -
২. এরপর Main Post বা Blog Posts লেখা উইজেটের পেনসিল আইকোনে ক্লিক করবেন -
৩. এরপর Number of posts on main page আপনার কাংক্ষিত সংখ্যা বসিয়ে দেবেন।
2. ইমেজ গুলো আপলোডের আগে রিসাইজ করা
আপনার ব্লগ পোষ্টের প্রত্যেকটা ইমেজের সাইজ হবে আপনার ব্লগ সাইটের ব্লগের এরিয়ার সমান বা তার কম। তবে বেশি ছোট সাইজের ইমেজ দিলে পোষ্টের কোয়ালিটি নষ্ট হতে পারে। তাই একটা পারফেক্ট সাইজের ইমেজ দিতে হবে, যাতে আপনার পোষ্টের কোয়ালিটিও নষ্ট না হয় এবং ব্লগের লোডিং অনেক কম সময়েই হয়ে যায়। আপনি যদি একজন ব্লগ ডিজাইনার হন তাহলে আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান থাকার কথা । তবে বেশির ভাগ ব্লগ সাইটের পোষ্ট এরিয়া হয় ৬০০- ৮০০ px । তাই ইমেজের সাইজ গুলো এই দৈর্ঘ্যের মধ্যে রাখা উত্তম ।
3. ব্লগের ইমেজের জন্য আলাদা হোষ্ট ব্যবহার করা
আপনার ব্লগ সাইটের জন্য আপনি আলাদা একটা হোষ্ট এর ব্যবস্থা করতে পারেন। যদি আপনি আপনার প্রত্যেক পোষ্টে অসংখ্য ইমেজ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য আলাদা হোষ্ট ব্যবহার করাই সবচেয়ে উত্তম । আর যদি প্রতি পোষ্টে একটা ইমেজ ব্যবহার করেন তাহলে আলাদা কোনো হোষ্ট ব্যবহার না করলেও চলবে।আলাদা হোষ্ট ব্যবহারের ফলে আপনার সাইটের উপর থেকে ইমেজ গুলো লোডের ঝামেলা থেকে মুক্ত হবে। ফলে আপনার সাইট খুব দ্রুত লোড হবে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি হোষ্ট হলো Google Drive, Google Photos ।
4. ইমেজ কমপ্রেজ করা
যদি আপনার সাইটের ইমেজ গুলো এখনো লোড হতে সময় বেশি নেয় তাহলে আপনার সাইটের ইমেজ গুলো কমপ্রেজ করে তারপর আপনার সাইটে আপলোড করুন।
ইমেজ কমপ্রেজ মানে হলো আপনার সাইটের ইমেজ গুলোর সাইজ সংকুচিত করা । ইমেজ কমপ্রেজ করার মাধ্যমে আপনি চাইলেে প্রতিটি পোষ্টে অনেক গুলো ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়াও আগের আপলোড করা সকল বড় সাইজের ইমেজ গুলো সম্ভব হলে রিমুভ করুন। এতে আপনি ভালো কিছু পেতে পারেন।
5. ব্লগ সাইটের উইজেট গুলো সংখ্যা কম করা
আপনার সাইটে আপনার ব্যবহার করা উইজেট গুলো একেবারে কম করে ফেলুন। অতি গুরুত্বপূর্ণ উইজেট ছারা বাকি উইজেট গুলো রিমুভ করে দিন। অতিরিক্ত উইজেট আপনার সাইটের ইউজাদের বা ভিজিটর দের বিরক্তির কারণ হতে পারে। সুতরাং মাত্রা অতিরিক্ত উইজেট আমাদের সাইটের সব দিক থেকেই ক্ষতি করে থাকে । আপনার সাইটের উইজেট সংখ্যা কমিয়ে আনলে আপনার সাইটের লোডিং স্পীড যেমন বাড়বে তেমনি আপনার সাইটের ভিজিটররা আপনার সাইট ভিজিট করে মজা পাবে।
6. HTML/JAVASCRIPT গেজেট গুলো রিমুভ করা
Html / JavaScript গেজেট গুলো সাধারনত আমরা আমাদের সাইটে কাস্টম ভাবে কোনো কিছু এড করার জন্য ব্যবহার করে থাকি । তবে এর মাত্রা অতিরিক্ত এবং ভুল জায়গায় ব্যবহার আপনার সাইটের লোডিং স্পীড কমিয়ে আনতে পারে। তাই আমাদের উচিত এইসব গেজেট গুলো যথাসম্ভব কম ব্যবহার করা এবং যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে খুব কম সংখ্যক গেজেট ব্যবহার করা।
সঠিক জায়গা গুলো হলো ব্লগ পোষ্ট এর নিচে, সাইটবারের নিচে এবং ফুটারের উপরে।
![]() |
Right Place for using JavaScript Gadgets - Freelancer Guideline |
আপনি যদি গেজেট গুলি মূল সাইটের কোডের মধ্যে ব্যবহার করতে চান তাহলে body tag এর শেষেই করা উত্তম।
7. কাস্টম ফন্টের ব্যবহার সীমিত করুন
কাস্টম ফন্ট যেকোনো ওয়েবসাইটকে একটা অন্য মাত্রা যোগ করে। তবে মাত্রা অতিরিক্ত কাস্টম ফন্ট আপনার সাইটের লোডিং স্পী অনেক কমিয়ে আনতে পারে । তাই এ ব্যাপারে আপনাকে সচেতন হতে হবে। যদি দেখেন কাস্টম ফন্ট ব্যবহার করায় আপনার সাইট লোড হতে সময় নিচ্ছে তাহলে কাস্টম ফন্ট ব্যবহার করা বন্ধ করুন। সম্ভব হলে আপনার আগের ব্যবহার করা কাস্টম ফন্ট গুলো রিমুভ করুন।8. থিম বা টেমপ্লেটের পেইড ভার্সন ব্যবহার করা
বন্ধুরা আমরা যারা ব্লগার ব্যবহার করে থাকি তারা প্রায় সবাই কাস্টম টেমপ্লেটের ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করি । কারন পেইড ভার্সন আর ফ্রি ভার্সন এর মধ্যে তেমন কোনো ভিন্নতা থাকে না। তাবে বন্ধুরা আপনার জানা আছে কি না - একটা কাস্টম টেমপ্লেটের পেইড ভার্সন খুব দ্রুত লোড নেয় । কারন েপেইড ভার্সনে Java Script কোড অনেক কম থাকে । এছাড়াও পেইড ভার্সন অনেক এসইও অপটিমাইজ হয় ।
তাই আমি বলবো আপনি যদি আপনার সাইটটা খুব দ্রুত লোড করাতে চান এবং গুগলের টপ রেঙ্কে দেখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাস্টম টেমপ্লেটের পেইড ভার্সন ব্যবহার করতে হবে।
সো বন্ধুরা এই গাইডটি আপনার কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানান। কোনো প্রশ্ন থাকলেও কমেন্টে জানাবেন । আমরা অবশ্যই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এতক্ষন সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।